মাদকের সহজলভ্যতার কারণে ভবঘুরে নেশাখোরদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকার ফুটপাত। এসব এলাকায় মাদকাসক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানিয়েছেন, মাদকের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালানো হবে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছে চানখারপুল এলাকায় দিনে দুপুরে প্রকাশ্যেই চলে নেশাখোরদের আড্ডা। প্রতিদিন সকাল থেকেই তারা নেশায় মত্ত হন এখানে।
প্রায় একই চিত্র দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে। এছাড়া নিরাপদ আশ্রয় মনে করে রাজধানীর তেজগাঁও রেলস্টেশন এলাকায় আস্তানা গেড়ে বসেছে মাদকাসক্তরা।
প্রকাশ্যে এসব অপকর্ম চললেও রহস্যজনক কারণে নিরব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জাতীয় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. অরুপ রতন চৌধুরী বলেন, অনেক আন্দোলনের পর তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। জনসম্মুখে যদি ধুমপান করে তাহলে ৩শ’ টাকা জরিমানার বিধান করা হয়েছে। কিন্তু প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণ করলে তার কোন জরিমানার বিধান নেই। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেমন তাদের ধরতে পারছে না, আবার কাউকে ধরলেও নানা অপকৌশলে তারা ছাড়া পাচ্ছেন। আইনের কাছে তাদের সোপর্দ করা হচেছ না। ফলে তাদের আইনের আওতায় নেয়া যাচ্ছে না।
মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সালাহ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, শিগগিরই অভিযান চালানো হবে। তিনি বলেন, আমাদের নিজস্ব গোয়েন্দারা সতর্ক রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট জায়গায় প্রকাশ্যে মাদকসেবনের ঘটনা ঘটছে তার তথ্য আমাদের কাছে নেই।
তিনি বলেন, প্রকাশ্যে তো প্রশ্নই আসে না। গোপনেও যেসব জায়গায় মাদক সেবনের খবর আসে সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আমাদের ফোর্স তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
তবে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান কবে চালানো হবে তা নির্দিষ্ট করে জানেনা কেউ। আর সেই সুযোগে দিন দিন বাড়ছে প্রকাশ্যে মাদক সেবন।
এমকে